প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস (Prachin Bangla Itihas), জনপদ ও উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূত্রপাত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর. BCS Exam, Bank Job Exam, NTRC Exam, Primary Assistant Teacher Exam and NSI Exam.

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস বলতে মূলত হাজার বছর পূর্বের বাংলার ভৌগোলিক অবস্থান, পরিবেশ, তৎকালীন বসবাসরত অধিবাসী, তাদের ভাষা, জীবন যাপন পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্যগুলোকে বোঝায়। ইতিহাসের এসকল উপাদানগুলোকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১) লিখিত উপাদান : তৎকালীন রচিত গ্রন্থ, সাহিত্য। যেমন : ঐত্যরেয় আরণ্যক, চর্যাপদ, রামচরিতম ইত্যাদি।
২) অলিখিত উপাদান : স্থাপত্য, ভাস্কর্য, মুদ্রা প্রভৃতি।

The author presents crucial questions and answers for applicants primarily competing for the BCS exam. It will also assist applicants who want to sit for Bank Jobs, NTRC, Primary Assistant Teacher, and NSI Exam.

প্রাচীন বাংলার উৎপত্তির ইতিহাস

প্রাচীন বাংলার উৎপত্তি প্রায় চার সহস্রাব্দ পূর্বের। এই অঞ্চলের ইতিহাস মূলত বিভিন্ন জনপদ (রাজ্য) এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মিশ্রণ ও সাম্রাজ্যের উত্থান-পতনের সঙ্গে জড়িত।

প্রাচীন বাংলার জনপদ ও সভ্যতার বিকাশ
  • সময়কাল ও প্রথম উল্লেখ: বাংলায় সভ্যতার ক্রমবিকাশ শুরু হয় চার সহস্রাব্দ পূর্বে। প্রাচীন গ্রিক ও রোমান লেখায় এই অঞ্চলটি গঙ্গারিডই (Gangaridai) নামে পরিচিত ছিল, যার শৌর্য-বীর্য আলেকজান্ডারকে ভারত জয়ে নিরস্ত করেছিল বলে জানা যায়।
  • জনপদসমূহ: প্রাচীন বাংলা কয়েকটি প্রধান জনপদে বিভক্ত ছিল, যেমন: বঙ্গ, পুণ্ড্র, রাঢ়, গৌড়, সমতট এবং হরিকেল। এর মধ্যে ‘বঙ্গ’ থেকেই কালক্রমে ‘বাংলা’ নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
  • প্রাচীন নগর: বৈদিক যুগে এখানে বেশ কিছু প্রাচীন নগরের পত্তন হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মহাস্থানগড়, চন্দ্রকেতুগড় এবং ওয়ারী-বটেশ্বর-এর মতো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো প্রাচীন বাংলার নগর সভ্যতার নিদর্শন বহন করে।
  • প্রথম সাম্রাজ্য: খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে এই অঞ্চলটি মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। এরপর এটি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অংশ হয়।
 স্বাধীন রাজনৈতিক সত্তার উদ্ভব
  • স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা: মৌর্য ও গুপ্ত শাসনের পর রাজা শশাঙ্ক বাংলার ইতিহাসে প্রথম স্বাধীন ও সংঘবদ্ধ গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে। তাঁর মাধ্যমেই বাংলার জনপদে স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সত্তার উদ্ভব ঘটে।
  • বিভিন্ন রাজবংশ: শশাঙ্কের পর এই অঞ্চলে পাল রাজবংশ (প্রায় ৪৫০ বছর শাসন করেন), সেন রাজবংশ এবং অন্যান্য ছোট রাজবংশ শাসন করে।
 বাঙালি জাতির উৎপত্তি
  • সংকর জাতি: বাঙালি জাতি একটি সংকর জাতি। এর মূল কাঠামো প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে মুসলিম শাসনের পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত।
  • প্রধান জনগোষ্ঠী: বাঙালি জাতির মূল অংশ গড়ে উঠেছে মূলত অস্ট্রিকদ্রাবিড় জাতির সংমিশ্রণে, যা আর্য-পূর্ব জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত। অস্ট্রিকরা প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ইন্দোচীন থেকে বাংলায় প্রবেশ করে।
  • মিশ্রণ: পরবর্তীতে ইন্দো-আর্য, তিব্বতীয়-বর্মণ (মঙ্গোলীয়) এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী বাংলায় আগমন ও বসতি স্থাপন করে। এই সকল জাতিগোষ্ঠীর সংমিশ্রণ ও সংকরায়ণের ফলেই আজকের বাঙালি জাতি গঠিত হয়েছে।
প্রাচীন বাংলার উৎপত্তির ইতিহাস – মোঘল শাসনামলের পূর্ব পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলি ও উত্তর

সর্বপ্রথম বঙ্গ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায় কোথায় এবং এর রচয়িতা কে ছিলেন? উ: ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে প্রথম বঙ্গ শব্দ পাওয়া যায়।  এর লেখক ‘ মহিদাস’।

দেশ ও ভাষা হিসেবে বাংলা নামের উৎপত্তির বিষয় সর্বাধিক আলোচিত হয়েছে কোন গ্রন্থে? উ: আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে।

‘আকবরনামা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? উ: আবুল ফজল। [ আকবরনামা ৩ খন্ডে বিভক্ত। ৩য় খন্ডের নামই হলো : আইন-ই-আকবরী।

কুষাণ সাম্রাজ্যের ইতিহাস পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে? উ: ‘ঐতিহাসিক দলিল’ গ্রন্থে। লেখক – সুমা কিয়েন।

প্রাচীন বাংলার অলিখিত উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম ও উল্লেখযোগ্য হলো : তাম্রশাসন। প্রাচীন বাংলার কয়টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে?  উ: ৭টি।

উপমহাদেশে পরিব্রাজকদের ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

মেগাস্থিনিস কে ছিলেন? উ: মেগাস্থিনিস ছিল গ্রিক রাষ্ট্রদূত। তিনি রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের দরবারে আসেন।

মেগাস্থিনিস কর্তৃক ভারতবর্ষ ভ্রমণ নিয়ে রচিত গ্রন্থের নাম কি? উ: ইন্ডিকা।

ফা- হিয়েন কে ছিলেন? উ: ফা হিয়েন ছিলেন চীনা পর্যটক। তিনি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে ভারতবর্ষে আসেন।

ভারত ভ্রমণ নিয়ে রচিত ‘ফো-কুয়ো-কিং’ গ্রন্থের লেখক কে? উ: ফা হিয়েন।

‘সিদ্ধি’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা: হিউয়েন সাং।

হিউয়েন সাং কে ছিলেন? উ: চীনা পর্যটক। তিনি রাজা হর্ষবর্ধনের শাসনামলে বাংলায় আসেন।

হিউয়েন সাং কার অধীনে অধ্যয়ন করেন / দীক্ষা পেয়েছিলেন? উ: নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষ শীলভদ্রের নিকটে।

ইবনে বতুতা কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন? উ: মরোক্কো’র।

ইবনে বতুতা কত সালে এবং কার শাসনামলে ভারতবর্ষে আসেন? উ: ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে, শাসনকর্তা মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ভারতবর্ষে আসেন। মুহাম্মদ বিন তুঘলক তাকে দিল্লির কাজী নিযুক্ত করেন।

ইবনে বতুতা কখন এবং কার শাসনামলে বাংলায় আসেন? উ: ইবনে বতুতা চতুর্দশ শতকে (১৩৪৫-৪৬ খ্রিস্টাব্দে) ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ’র শাসনকালে সোনারগাঁও আসেন।

ইবনে বতুতার বাংলায় আসার মূল উদ্দেশ্য কি ছিল? উ: হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ।

ইবনে বতুতার কোন গ্রন্থে তিনি বাংলাকে ‘দোযখপূর্ন নিয়ামত’ বলেছেন? উ: কিতাবুল রেহেলা। এটি আরবি ভাষায় রচিত।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

অষ্ট্রিক জাতি হতে বাঙালি জাতির মূল অংশের উদ্ভব হয়েছে। অষ্ট্রিক জাতির অন্য কি নামে পরিচিত?  উ: নিষাদ জাতি।

দ্রাবিড় বলতে কাদের বোঝায়? উ: দক্ষিণ ভারতের আদি অধিবাসীদেরকে দ্রাবিড় বলা হয়।

আর্যদের আদিনিবাস কোথায়? উ: ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে। বর্তমান ইরানে।

বাঙালি জাতি প্রধানত কোন দুটি জাতির সংমিশ্রণে গঠিত? উ: অষ্ট্রিক- দ্রাবিড় + আর্য জাতি।

আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করে কত সালে? উ: খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে।

প্রাচীন বাংলার জনপদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

হরিকেল জনপদ (চট্টগ্রাম ও সিলেট) বাংলার কোন দিকে অবস্থিত? উ: পূর্বদিকে।

বঙ্গ জনপদ কোন কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত? উ: বৃহত্তর ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ

বঙ্গ জনপদের প্রতিবেশী জনপদ বলা হয় কোন জনপদকে? উ: সমতট। (কুমিল্লা ও নোয়াখালী)

গঙ্গা – ভাগীরথী নদীর পূর্ব তীর থেকে শুরু করে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত সমুদ্রকূলবর্তী এলাকা কোন জনপদের সীমানা? উ: সমতট।

সমতট জনপদের রাজধানী কোথায় অবস্থিত ছিল? উ: বড় কামতা। এটি কুমিল্লার ১২ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত।

চন্দ্রদ্বীপ জনপদ ( বরিশাল, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ) এর সীমানা?  উ: বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী এলাকা।

বরেন্দ্র / বরেন্দ্রী জনপদ কোন দুটি নদীর মাঝে অবস্থিত? উ: গঙ্গা ও করোতোয়া।

কোন নদীকে বঙ্গ জনপদের উত্তরদিকের সীমানা ধরা হয়েছে? উ: পদ্মা নদীকে।

প্রাচীন রাঢ় জনপদের বর্তমান নাম কি? উ: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান।

তাম্রলিপ্তি জনপদের নামকরণ হয় কিসের নামানুসারে? উ: তাম্রলিপ্তি বন্দরের নামানুসারে।

Prachin Bangla Jonopodপ্রাচীন বাংলার জনপদ
প্রাচীন বাংলার সাম্রাজ্য ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্য ও প্রথম রাজা(প্রতিষ্ঠাতা) কে ছিলেন? উ: মৌর্য সাম্রাজ্য। প্রতিষ্ঠাতা : চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

আলেকজান্ডারের সেনপতিকে পরাজিত করে গ্রিকদেরকে উপমহাদেশ হতে বিতাড়িত করেন কে? উ: রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন? উ: চাণক্য ( অন্য নাম: কৌটিল্য)।

সম্রাট অশোক কোন বংশের রাজা ছিলো? উ: মৌর্য।

সম্রাট অশোকের কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হন? উ: কলিঙ্গের যুদ্ধ। ( প্রায় ১ লক্ষ মানুষ নিহত হয়)। এজন্য তাকে বৌদ্ধ ধর্মের কনস্টানটাইন বলা হয়।

কুষান সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন? উ: কনিষ্ক।

চরক কে ছিলেন? উ: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের পন্ডিত ও রাজা কনিষ্কের চিকিৎসক। চরকের বিখ্যাত আয়ুর্বেদ গ্রন্থ : চরক সংহিতা।

প্রাচীন বাংলার কোন যুগকে স্বর্ণযুগ বলা হয়? উ: গুপ্তযুগকে।

ধ্রুপদী ভাষ্কর্য বলা হয় কোন যুগের ভাস্কর্যগুলোকে? উ: গুপ্তযুগের।

প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন ও গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিল? উ: রাজা সমুদ্রগুপ্ত।

বিক্রমাদিত্য কার উপাধি ছিল? উ: রাজা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।

নবরত্ন বলতে কাদের বোঝায়? উ: রাজা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের দরবারের গুনী ও প্রতিভাবান নয়জনকে নবরত্ন বলে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য – কালিদাস, অমরসিংহ, বরাহমিহির প্রমুখ।

মহাকবি কালিদাসের বিখ্যাত রচনাবলি – অভিজ্ঞান শকুন্তল, মালবিকাগ্নিমিত্র, রঘুবংশ ও কুমারসম্ভব, মেঘদূত, ঋতুসংহার প্রভৃতি।

প্রসিদ্ধ সংস্কৃত অভিধান ‘ অমরকোষ’ এর রচয়িতা কে? উ: অমরসিংহ।

বরাহমিহির কে ছিলেন? তার বিখ্যাত রচনা কোনটি? উ: বরাহমিহির ছিলেন একজন জ্যোতির্বিদ। তার গ্রন্থ – বৃহৎ সংহিতা।

গুপ্ত সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে কাদের আক্রমণে? উ: যাযাবর হুন জাতির আক্রমনে।

তক্ষশিলা বর্তমানে কোথায় অবস্থিত? উ: পাকিস্তানে।

৬ষ্ঠ শতকে গুপ্তবংশের পতনের পরে বাংলায় কতটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয়েছিল? উ: ২টি। ( বঙ্গ রাজ্য ও গৌড় রাজ্য)

বঙ্গরাজ্য শাসন করতেন কারা? উ: গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য, সমাচারদেব নামক ৩ জন মহারাজাধিরাজ বঙ্গ রাজ্য শাসন করতেন।

গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিল? উ: রাজা শশাঙ্ক। তিনি প্রথম জীবনে রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন ‘মহাসামন্ত’ ছিলেন।

কে বাংলার প্রাচীন জনপদগুলোকে একত্রিত করে ‘স্বাধীন গৌড় রাজ্য’ গড়ে তোলেন? উ: রাজা শশাঙ্ক। এজন্য রাজা শশাঙ্ককে অবিভক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা বলা হয়।

পুষ্যভূতি রাজ্য তথা ক্ষুদ্র রাজ্যের অভ্যুদয় ঘটেছিল কোথায়? উ: পাঞ্জাবের পূর্বে।

পুষ্যভূতি বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন? উ: রাজা হর্ষবর্ধন।

রাজা হর্ষবর্ধনের সভাকবি কে ছিলেন ও তার বিখ্যাত গ্রন্থের নাম কি? উ: বানভট্ট। বানভট্টের রচনা : হর্ষচরিত।

মাৎস্যন্যায় বলতে কোন সময়কালকে বোঝায়? উ: ৭ম – ৮ম শতকের অরাজকতাপূর্ণ সময় তথা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ সময়কে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।

মাৎস্যন্যায় সম্পর্কে জানা যায় কোন কোন উৎস থেকে? উ: পাল তাম্রশাসন ও সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘ রামচরিত’ থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

পালবংশের রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিল? উ: বৌদ্ধ ধর্ম।

পাল রাজাদের পিতৃভূমি বলা হয় কোন জনপদকে? উ: বরেন্দ্র।

পাল বংশ সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শাসন করে। পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন? উ: রাজা ধর্মপাল। রাজা ধর্মপালের উপাধি ছিল : ‘বিক্রমশীল’।

বাংলার প্রাচীনতম ছবির নিদর্শন কোনটি? উ: পাল যুগের ‘অষ্টাসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’।

‘অষ্টাসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ চিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কি? উ: এটি তালপাতায় অঙ্কিত চিত্রসম্বলিত বৌদ্ধগ্রন্থ।

‘অষ্টাসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ কোন রাজার শাসনকালে রচিত? উ: পাল রাজা মহীপালের সময়।

কৈবর্ত বলতে কাদের বোঝায়? উ: কৈবর্ত বলতে ‘জেলেদের’ বোাঝায়। মূলত, কৃষক, জেলে, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষদেরকে কৈবর্ত বলে।

‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ এর নেতা কে ছিল? এই বিদ্রোহ কার শাসনামলে সংঘটিত হয়? উ: উক্ত বিদ্রোহের নেতা ছিল ‘দিব্যক’। রাজা দ্বিতীয় মহীপালের সময় এই বিদ্রোহ ঘটে।

পাল বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন? উ: মদনপাল। রাজা মদনপালের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ধ্যাকর নন্দী ‘রামচরিতম’ রচনা করে।

খড়গ বংশের রাজ্য কোথায় অবস্থিত? উ: দক্ষিণ পূর্ব বাংলায়। খড়গ বংশের রাজধানী ‘কর্মান্ত বসাক’।

সেন রাজাদের পিতৃভূমি বা আদিনিবাস কোথায়? উ: দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক।

সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন? সেন বংশের প্রথম রাজা কে ছিলেন?  উ: সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেন। কিন্তু প্রথম রাজা বলা হয়  মহারাজা ‘হেমন্ত সেন’কে।

সেন বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন এবং কেন? উ: সেন বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ‘বিজয় সেন’। কেননা তিনি প্রথম নিজেকে সামন্ত রাজা থেকে স্বাধীন রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

রাজা বিজয়সেনের রাজধানী দুইটি কোথায় ছিল? উ: ১)প্রথম রাজধানী ছিল হুগলীর ত্রিবেণীর বিজয়পুর ও ২) মুন্সিগঞ্জের বিজয়পুর।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

কৌলীন্য প্রথা’ এর প্রবর্তক কে ছিলেন? উ: বল্লাল সেন।

‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভূতসাগর’ রচনা করেন কে? উ: রাজা বল্লাল সেন। তবে অদ্ভূতসাগরের শেষ অংশ সমাপ্ত করেন বল্লাল সেনের পুত্র ‘ লক্ষন সেন’।

সেন বংশের শেষ রাজা ও শেষ শাসনকর্তা কে ছিলেন? উ: সেন বংশের শেষ রাজা ছিল লক্ষন সেন। তবে শেষ শাসনকর্তা ছিল তার পুত্র ‘কেশব সেন’।

রাজা লক্ষন সেন মৃত্যুবরন করেন কত সালে? উ: ১২০৬ সালে।

রাজা লক্ষন সেনের পুত্র কতজন? উ: ২ জন। ১) কেশব সেন ২) বিশ্বরূপ সেন।

উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

বখতিয়ার খলজি নদীয়া জয় করে কত খ্রিস্টাব্দে? উ: ১২০৪ খ্রিঃ।

বখতিয়ার খলজি কোথাকার নাগরিক ছিলেন? উ: আফগানিস্তানের নাগরিক তবে জাতিতে তুর্কি।

বখতিয়ার খলজির গৌড়/ লক্ষনাবতী/ লখনৌতি অধিকার করেন কত সালে? উ: ১২০৪ সালে। মতান্তরে ১২০৫। ( ত্রয়োদশ শতাব্দীতে)

ভারতবর্ষে প্রথম মুসলিম বা আরব অভিযান কত সালে এবং কে সংঘটিত করেন? উ: ৭১২ খ্রিষ্টাব্দে ‘মুহম্মদ বিন কাসিম’ প্রথম মুসলিম হিসেবে ভারতে অভিযান চালান।

মুহম্মদ বিন কাসিম কার বিরুদ্ধে অভিযান চালান? উ: সিন্ধু ‘রাজা দাহিরের’ বিরুদ্ধে। এবং মুহম্মদ বিন কাসিম প্রথম সিন্ধুর ‘দেবল’ শহরে উপস্থিত হন।

গজনীর সুলতান মাহমুদ কতবার উপমহাদেশে অভিযান করেন? উ: ১০০০ থেকে ১০২৭ পর্যন্ত মোট ১৭ বার।

সুলতান মাহমুদ এর জয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কোনটি? উ: গুজরাটের প্রাচীন দেবমন্দির ‘সোমনাথ মন্দির’ জয়।

ত্বরাইনের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় কত সালে? এবং জয়ী ও পরাজিত হয় কে? উ: ১১৯১ খ্রিঃ। জয়লাভ করেন ‘পৃথ্বীরাজ চৌহান’ এবং পরাজিত হন ‘মুহম্মদ ঘুরী’।

ত্বরাইনের ২য় যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়? এবং জয়লাভ করেন কে? উ: ১১৯২ খ্রিঃ। জয়লাভ করেন ‘মুহম্মদ ঘুরী’ এবং পৃথ্বীরাজ চৌহান নিহত হন।

ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কে? উ: মুহম্মদ ঘুরী। তবে ভারতে স্থায়ী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ‘ কুতুবউদ্দিন আইবেক ‘।

সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক কে ছিলেন? উ: সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক প্রথম জীবনে মুহম্মদ ঘুরীর একজন ক্রীতদাস ও পরবর্তীতে সেনাপতি ছিলেন। কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লিতে রাজধানী স্থাপন করেন।

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা কে? উ: কুতুবউদ্দিন আইবেক

দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা কে? উ: শামসুদ্দিন ইলত্যুতমিশ।

কুতুবউদ্দিন আইবেকের পরম দানশীলতার জন্য তাকে কি নামে ডাকা হতো? উ: লাখবক্স।

ভারতে প্রথম মুদ্রা প্রবর্তন করেন কে? উ: শামসুদ্দিন ইলত্যুতমিশ।

শামসুদ্দিন ইলত্যুতমিশের উপাধি কি ছিল? উ: সুলতান-ই-আজম।

‘বন্দেগান-ই-চেহেলগান’ বা ‘চল্লিশ চক্র’ বলতে কি বোঝায়?

উ: শামসুদ্দিন ইলত্যুতমিশ ৪০ জন তুর্কী ক্রীতদাসকে নিয়ে একটি দল গঠন করেন এই দলটি ‘বন্দেগান-ই-চেহেলগান’ বা ‘চল্লিশ চক্র নামে পরিচিত।

কুতুব মিনারের কাজ শেষ হয় কার শাসনামলে? উ: ইলত্যুতমিশ।

‘মহান শাসক’ কাকে বলা হতো? উ: সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন কে।

‘রক্তপাত ও কঠোর নীতি’ (Blood and Iron Policy) কার শাসন নীতি? উ: গিয়াসউদ্দিন বলবন।

‘বুলবুলে হিন্দ’ (ভারতের তোতাপাখি) বলা হয় কাকে?  উ: আমীর খসরু কে। তিনি গিয়াসউদ্দিন বলবনের দরবারের সদস্য ছিলেন।

প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে দাক্ষিণাত্য (দক্ষিণ ভারত) জয় করেন কে? উ: ‘আলাউদ্দিন খলজি’ ও তার সেনাপতি ‘মালিক কাফুর’।

মূল্য ও বাজার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কে? উ: আলাউদ্দীন খলজি।

আমিই রাষ্ট্র ‘ ঘোষণা করে ভারতবর্ষের কোন শাসক? উ: আলাউদ্দিন খলজি।

দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন কে? উ: মুহম্মদ বিন তুঘলক।

মুহম্মদ বিন তুঘলক সোনা ও রৌপ্য মুদ্রার পরিবর্তে কিসের মুদ্রার প্রবর্তন করেন? উ: তামার মুদ্রার প্রবর্তন করেন।

কৃষি উন্নয়নের জন্য ‘দিওয়ান-ই-কোহী’ নামে ‘কৃষি বিভাগ’ প্রতিষ্ঠা করেন কে?

উ: মুহম্মদ বিন তুঘলক। এই ‘দিওয়ান-ই-কোহী’ র প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন ‘আমীর কোহী’।

তৈমুর লঙ কত সালে মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে দিল্লী অধিকার করেন? উ: ১৩৯৮ সালে।

ইব্রাহিম লোদী কে ছিলেন? উ: দিল্লি সালতানাতের সর্বশেষ সুলতান।

ভারতবর্ষের তথা দিল্লির সিংহাসনে আরোহন করা প্রথম নারী শাসক কে?

উ: রাজিয়া সুলতানা। রাজা শামসুদ্দিন ইলত্যুতমিশের কন্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.